ঈশ্বরদীতে চলতি বছরের পৌষের মাঝামাঝিতে মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে হাড়কাপানো শীত বিরাজ করছে। ঘড়ির কাঁটায় বেলা যতই গড়িয়ে পড়ছে, ঈশ্বরদী ততই তাপমাত্রা কমে কনকনে ঠাণ্ডা যেন জেঁকে বসছে।
সূর্যের দেখা মিললেও নেই তাপ।
আজ মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে।
মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় ঈশ্বরদী আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন এতথ্য নিশ্চিত করে জানান, সকাল ৯ টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঈশ্বরদীর আবহাওয়া অধিদফতরের পর্যবেক্ষক নাজমুল হক রঞ্জন জানান, যখন ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা মৃদু শৈত্য প্রবাহ বলা হয়। ৮ থেকে ৬ ডিগ্রি তাপমাত্রাকে মাঝারি ৬ ডিগ্রির নিচে তাপমাত্রা কমলে তীব্র শৈত্য প্রবাহ বলা হয়।
সারাদিনে আমরা দুইবার তাপমাত্রা পরিমাপ করে থাকি। একবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, পরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। দিনের শেষে বেলা ৩ টায়, সন্ধ্যা ৬ টায় যে তাপমাত্রা পরিমাপ করা হয়, সেটি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া সূর্য ডুবে যাওয়ার পর থেকে যে তাপমাত্রা থাকে তাকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ধরা হয়।
মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারণে কুয়াশার দেখা মিলছে। এতে তাপমাত্রা কমে শীত অনুভূত হচ্ছে।
চলত বছরে জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময় জুড়ে তাপমাত্রা কমে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান ওই আবহাওয়া পর্যবেক্ষক।